বই রিভিউ - Burmese Days by George Orwell

তৎকালীন বার্মায় অবস্থানরত কিছু ব্রিটিশের জীবন নিয়ে লেখা বইটি। ব্যাক্তিগত জীবনে অরওয়েল বার্মায় কিছুদিন পুলিশের কাজ করেছেন। সেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সেই সময়ের কিছু চিত্র আমরা দেখতে পাই বইতে। জন ফ্লোরি বইয়ের প্রধান চরিত্র। সে একজন কাঠ ব্যবসায়ী। তাঁর বন্ধু ড. ভেরাস্বামি এলাকার প্রধান ডক্টর। U Po Kyin একজন দুর্নীতি পরায়ণ, ধূর্ত সরকারি ম্যাজিস্ট্রেট । ব্যাক্তিগত শত্রুতার দরুন U Po Kyin চায় ড. ভেরাস্বামিকে অপদস্থ করতে, তাঁর মানহানী করতে। এই অপমান থেকে বাচার একটাই উপায় ইংলিশ ক্লাবের মেম্বার নির্বাচিত হওয়া। অপরদিকে U ও চায় ইংলিশ ক্লাবের মেম্বার হতে। সেই ক্ষেত্রে তাঁর সামনে একমাত্র বাধা ড. ভেরাস্বামি। কেননা ইংলিশ ক্লাবের মেম্বার হতে হলে কোন ইংরেজ এর সাথে ভালো পরিচয়, বন্ধুত্ব থাকা লাগে। যা আছে কেবল ড. ভেরাস্বামির। উপন্যাসে আমরা দেখতে পাই একন ইংরেজ এর কত মান মর্যাদা, একজন ন্যাটিভ এর তুলনায়। আপনার যদি একজন ইংরেজ বন্ধু থাকে, তাহলে আপনার হাজার দোষ ও মাফ পেয়ে যাবে। ইংরেজ এর কথাই সত্য। ন্যাটিভ এর কথার কোন মূল্য নাই। জন ফ্লোরি উপন্যাসের অন্যান্য চরিত্র থেকে একটু আলাদা। অন্যান্য ইংরেজদের মতো সে ন্যাটিভদের অমানুষ মনে করে না। তাদের জীবনের সাথে সে নিজেকে এক করে ফেলার চেষ্টা করেছে। সে ইংরেজদের সাম্রাজ্যবাদকে ঘৃণা করে। কিন্ত সে এখান থেকে বের ও হয়ে যেতে পারে না। দ্বৈত এক চরিত্রের টানা-পড়েনে সে আটকে রয়েছে পুরো বই জুড়ে।

উপন্যাসে দেখার মতো একটি চরিত্র ছিলো Ellis. সে চরম মাত্রায় বর্ণ বিদ্বেষী একজন কাঠ ব্যবসায়ী। তাঁর বর্ণ বিদ্বেষী চরিত্রের কিছু লাইন এখানে উল্লেখ করি,

The rage was stewing in his body like a bitter juice. He had brooded all night over what had happened. They had killed a white man, killed a white man, the bloody sods, the sneaking, cowardly hounds! Oh, the swine, the swine, how they ought to be made to suffer for it! Why did we make these cursed kid-glove laws? Why did we take everything lying down? Just suppose this had happened in a German colony, before the War! The good old Germans! They knew how to treat the niggers. Reprisals! Rhinoceros hide whips! Raid their villages, kill their cattle, burn their crops, decimate them, blow them from the guns."

‘Where are the police, the f— cowardly sods?’ he yelled, heedless of the women. ‘Why don’t they turn out? My God, we won’t get another chance like this in a hundred years! If we’d only ten rifles here, how we could slosh these b—s!’ ‘They’ll be here presently!’ Mr Macgregor shouted back. ‘It will take them some minutes to penetrate that crowd.’ ‘But why don’t they use their rifles, the miserable sons of bitches? They could slaughter them in bloody heaps if they’d only open fire. Oh, God, to think of missing a chance like this!’ "

এরকম আরও প্রচুর আছে পুরো বইয়ে। রেসিজমের তীব্রতা, ন্যাটিভদের প্রতি ঘৃণা ছিলো বইয়ের বেশিরভাগ চরিত্রের আলোচনার মূলবস্তু।

অপেক্ষাকৃত সৎ, আশেপাশের পরিস্থিতে অসহায় ফ্লোরি নানা ঘাত প্রতিঘাতে এক সময় পৌঁছে যায় জীবন সায়াহ্নে। উপনিবেশসমুহে এসে ব্রিটিশদের জীবনযাপন, আচরণ, একাকীত্ব এই পরিবেশে এসে বন্য হয়ে ওঠার কাহিনী জানতে সামান্য হলেও সাহায্য করবে অরওয়েলের এই মাস্টারপিস।