ক্রিকেটীয় সৌন্দর্য্য

"ক্রিকেটীয় সৌন্দর্য্য" শব্দযুগল শুনতে বড়ই চমকপ্রদ, বাস্তবে তার ভ্যালু কতটুকু ? ক্রিকেট খেলা শুরু হইসে ইংল্যান্ডে, স্বাভাবিকভাবেই তাদের মাটির ধরণ, পিচ অনুযায়ী সেখানে বল বাউন্স করবে বেশি। গায়েগতরে আমাদের চেয়ে বড় হওয়ায় প্রথম যুগের ক্রিকেট খেলুড়ে জাতিরা গায়ের জোরে বল করে উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করতো। ব্যাটসম্যান শরীর বরাবর বল করে ভয় নার্ভাস করার চেষ্ঠা করতো। প্রথম যুগের ইংরেজদের নিজেদের সুবিধামতো করা বোলিং সিস্টেমকে স্ট্যান্ডার্ড ধইরা নিয়া আমরা এখনো নিজেগো ক্রিকেটীয় জ্ঞান হাজির করার চেষ্টা করি।

"টেস্ট ক্রিকেটে পেস বোলার লাগবে।"
"পিস বাউন্সি হইতে হবে"
"ব্যাটসম্যান এর গা বরাবর বল কইরা নার্ভাস করা লাগবে।"
"স্লিপে ফিল্ডার থাকা টেস্টের সৌন্দর্য"

ঠিক আছে ভাই, শুনতে বহুত সুন্দর লাগে এসব। বাস্তবতায় আসেন। ১৪০কিমি গতিতে লাইন-ল্যাঙ্থ রাইখা বল করার বোলার আমাগো নাই। ৩ বেলা ভাত খাওয়া বাঙালির ভুড়ি গজাইতে বিয়ার পরে ১মাস ও লাগেনা। রিক্সাওয়ালা না হইলে ঐ শক্তি ধইরা রাইখা খেইলা যাওয়া বহুত টাফ আপনেরা মাশরাফিরে দেইখা বুঝার কথা। মাশরাফি ছাড়া আর কোন পেস বোলার এতো লং টাইম খেলেনাই বাংলাদেশে। আমাদের ডায়বেটিস ধরা ভঙুরে শরীরে পেস বোলাররা ঝলকের মতো আইসা হাওয়ায় মিশা যায়। ব্রড, আ্যান্ডারসনের মতো কন্টিনিউয়াসলি দৌড়াইয়া বল করার শরীর আমাগো না। নিজেদের মাটিতে নিজেদের ফায়দা সব দল নেয়। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওদেরকে বলেন স্পিনার দিয়া টেস্ট অপেনিং করাইতে দেখি। যাদের যেখানে স্ট্রেংথ তারা সেটা ব্যবহার করবেই। এইটার জন্যে নিজেদেরকে আজাইরা কামে নিচ দেখানোর দরকার নাই। নিচ দেখানোর হাজারো জায়গা আছে। খেলা থেইকা অবসর না নিয়ে কেউ পার্লামেন্ট ইলেকশনে দাঁড়ানোর নজির সারা দুনিয়ায় নাই। আমাদের পার্লামেন্ট কতোটা অথর্ব যে, একজন ইলেকশন-খেলা দুইটাই চালায়া যাইতে পারবে। কোন ইফেক্ট ই নাই কোনকিছুর কোনটায়। ডি-কলোনিয়াল এটিচিউড গ্রহণ করতে কইয়া লাভ নাই আমাগো। ইউরোপের লেমন-চুস না খাইলে নিজেগো জাতের মনে হয়না।