বিচ্ছিন্ন কবিতাগুচ্ছ
কাল রাতে অর্ধেক চাঁদের দিকে তাকিয়ে মনে হচ্ছিলো,
কেনো তুই আধখানা হয়ে আসিস ঐ গগনে,
আধখানা এই বুকখানিতে জ্বালাস আগুন সঙ্গোপনে।
জীবনের ২৩টি বসন্ত পাড়ি দিয়ে আজ হিসেব করতে বসেছি। পাওয়া – না পাওয়ার বেদনার চেয়ে কিছু করতে পারার আর কিছু হতে না পারার বেদনাটাই গুমড়ে মারছে কেন যেন।
এক বয়সে বিপ্লবী হতে যেয়ে হতে পারিনি। ছন্নছাড়া হতে যেয়ে হারিয়ে যেতে পারিনি। মুভি পাগল হয়েও ঠিক ফ্রিক হতে পারিনি। বই পাগল হয়েও ঠিক বইখোর হতে পারিনি। পড়ালেখার দিকে সিরিযাস হতে চেয়েও, Nerd হতে পারিনি। সুযোগ আসা স্বত্বেও ক্যারিযারে ফোকাস করতে পারিনি।
Btw, চা তে চুবিয়ে শিঙ্গারা খেতে কেমন লাগে?
ভালোবাসতে গিয়ে কাঙ্গাল হতে পারিনি। পাগল হতে গিয়ে ঠিক সাইকোপ্যাথ হয়ে পড়িনি। গান গাইতে গিয়ে ঠিক শিল্পী হতে পারিনি, কবিতা পড়তে গিয়ে আবৃত্তিক হতে পারিনি। মানুষ হতে গিয়েও ঠিকমতো মানুষ হতে পারিনি।
সবকিছু হতে গিয়ে আমি কিছুই হতে পারিনি।
সবকিছু হতে চাইলে তো এমনি হবেরে ভায়া। হয়তো চাওয়া-পাওয়ার তালিকাটা অনেক বড়। দিনে দিনে হচ্ছে দীর্ঘতর। কিন্তু কি চাই, ঠিকঠাক জানতে পারলে হয়তো ভালো হতো। না পাওয়ার বেদনা আছে, কিন্তু হতাশা নেই নূন্যতম। সেই বেদনা হয়তো লাঘব হতো জানতে পারলে।
কি জানি। হয়তো হতোনা। এমনি হয়তো ভালো। ছন্নছাড়ার মতো। জেনে গেলে জানতে চাওয়ার আকাঙ্ক্ষা যদি মরে যায়?
এমনি দিশেহারা হয়ে ছুটে,
চৌ-রাস্তার অশান্ত এক পথে,
এলোকেশী এক হাতছানি দিয়ে ডাকবে যেদিন হেথা,
মুখোরা আমি পড়িমড়ি করে পৌছে যাব সেথা।
হতাশা করতে চাইলে কতকিছু নিয়েই না করা যায় আসলে। আমি খুব পজিটিভ মানুষ। এসব আবোল-তাবোল আবর্জনা বের হওয়ার কারণ, কালকে পরীক্ষা। এখন হাবিজাবি লেখে সময় নষ্ট না করলে করবো কখন? :D :D