গণ আকাঙ্ক্ষারে পুঁজি কইরা বিপ্লব
গণ আকাঙ্ক্ষারে পুঁজি কইরা গণ মানুষের জন্যে কোন বিপ্লবী পরিবর্তন সম্ভব না। সহজ ভাষায় গণ মানুষ ভোদাই, আকাইম্মা, আইলসা এবং ভেড়ার পাল। তাহারে যেই নেতা দেওয়া হইবে সে তারে অনুসরণ করিয়া চলিবে। একদল পাগল ই কেবল পারে ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো পাগলামি করতে। গণ মানুষ ইতিহাস পড়েনা, জানেনা। তারে যেই ইতিহাস গলধকরন করিবে, সে তাই হজম করিবে। সার্সেই ল্যানিস্টার তার কনিষ্ঠ পুত্রকে একদা বলেছিলেন, "তুমি হইলা রাজা, ইতিহাস তুমি যেমনে লেখবা মানুষ তেমনেই খাইবে।" গণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা করিবার কোন ক্ষমতা থাকলেও, সে শুধু নিজেরে নিয়া মত্ত থাকিতে পছন্দ করে। তার আশা -আকাঙ্ক্ষা ব্যক্তিসার্থ কেন্দ্রিক। সে শুধু হা হুতাশ করিতে পারে। নাই নাই করিয়া কান্না করিতে পারে। কিন্তু পাওয়ার জন্যে ত্যাগ তিতিক্ষা করিবার মতো ঘিলু গনমানুষের নাই। তাই গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণের চেষ্টা করাই বৃথা।
গণ মানুষ যেহেতু ভেড়ার পাল, তাই তারে লাইনে রাখার জন্যে কেবল মেষ পালক দরকার। যারে সে কানার মতো ফলো কইরা যাবে। তার সব কথারে সে ইয়েস ইয়েস কইরা যাবে। সেইটা মুজিবের মতো ফ্র্ড হউক কিংবা এরদোগানের মতো তরমুজ ওয়ালা হউক, সেইটা ব্যাপার না। বর্তমান যুগে এই মেষপালকের দলের জন্যে অস্ত্র হইতে পরে প্রোপাগান্ডা অথবা ভয়। যারে সে ভয় পায়, তারে সে হুজুর হুজুর করবে। আম্রিকার সরকার যখন মিডিয়াতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালায়, তখন ট্যাক্স মানি কই যায়, সেটার কেয়ার করেনা আর পাবলিক। মুসলমান মরলেই তার জন্যে হালাল। আওয়ামী শুয়োরের দল টিভিতে, পত্রিকায় ৩০ বছর ধইরা প্রোপাগান্ডা চালানোর রেজাল্ট হইসে মানুষ এখন জামাত শুনলেই, তারে মাইরা ফেলানো মনের মধ্যে জায়েজ ধইরা নিসে। এসব কর্মকান্ড রে ছি ছি কইরা লাভ নাই। সাং যু এর যুদ্ধের নীতি যেমন একবিংশ শতাব্দীতেও কাজে লাগে। একবিংশ শতাব্দীর খবিসামিতে নিজেরে না মাখাইলে আপনি শুয়োরের লগে যুদ্ধে টিকবেন না। তাই ভেড়ার পালের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের বৃথা চেষ্টা না চালাইয়া খবিসামিতে নামার জন্যে সর্বন্ত ভাবে প্রস্তুত হওয়াই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।