রিকশা আর বাংলাদেশীদের আলসেমি
বাজারে যেদিন যাই সেদিন মিনিমাম ৪কিমি হাঁটাই লাগে। শহরে যেতে হলে ট্রাম ছাড়া গতি নাই, সব দিন যে সব জায়গা থেকে সীট পাবো তার কোন কথা নাই। দাঁড়িয়েই যেতে হবে। পাবলিক বাস থাকে আরো বেশী লোকে লোকারণ্য। সীট না পেলে কেউ চিল্লায় না যে এতো বেশী লোক কেনো উঠাইতেসে। যাতায়াত তো সবারই করা লাগবে।
আর আমাদের আইলসার গুষ্টির জন্যে সিটিং সার্ভিসের নামে বাটপারি শুরু করসে, আর মানুষজন বাবাহ দেওয়া শুরু করসে। ৫ মিনিটের রাস্তা হাঁটতে পারিনা বাপু, রিকশা লাগবে অলসের দল। ঘরে বসে বসে সিরিয়াল দেখা আর হাঁটা বাদ দিয়ে, কায়িক শ্রম বাদ দিয়ে আয়েশ করা, এই হইলো অলস বাঙালির দৈনন্দিন লাইফ।
বাজারের দিন দেখি মহিলারা ট্রলি হাতে নিয়ে আরেক হাতে বাচ্চা ধরে বাজার করতেসে। পরে সেই ভারী ট্রলি ঠেলে নিয়ে যাইতেসে গাড়ির দিকে অথবা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট খুঁজতে। এখানে কুলি বলতে কাউরে দেখিনাই যঅর উপরে নিজের বোঁঝা ঠেলে দিয়ে লোকে আয়েশ করে বাজার করবে। ১০কেজি হোক বা ১৫ কেজি নিজেদেরই ভাগাভাগি করে বহন করতে হবে।
রিক্শা চালানো, কুলিগিরি করা অবশ্যই অনেক পরিশ্রমের কাজ। তাদের কাজের কষ্টকে অবশ্যই অস্বীকার করছিনা। একটা পেশা তো অটোমেটিক তৈয়ার হয়না, প্রয়োজনের তাগিদে উদ্ভব হয়। আমরা আলসেমী করার ইচ্ছা করেছি দেখে এই পেশাগুলো আমাদের সোসাইটিতে আসছে। -_-