বাংলাদেশ আর সোমালিয়ান রান্না
গত বছর যেই ডর্মে ছিলাম, সেখানে কিচেন ছিলো। সো, প্রতি সপ্তাহেই রান্না করা হতো। প্রচুর বিদেশী ছাত্র এই ডর্মে থাকায় বিভিন্ন দেশীয় রান্না দেখার সুযোগ হতো রান্নার সময়টাতে। সোমালিয়ান কিছু ভাইদের সাথে পরিচয় হয় সেই সুযোগে। তাদের রান্নাও দেখা হয় এর মধ্যে। আমাদের মতো প্রচুর সবজি খাওয়ার একটা প্রবণতা দেখেছি তখন ওনাদের মাঝে। ৫-৬ জনের রান্না। কিন্ত একবারে প্রচুর সবজি রান্না করতেন। যেখানে কাটা মুরগী রান্না করে ফেলাই সবচেয়ে কম ভেজালের কাজ, সেখানে বাংলাদেশীদের মতো সবজি কাটতে বসতেন ওনারা কয়েকজন মিলে।
গত দুইদিন আন্তর্জাতিক ছাত্রদের একটা প্রোগ্রাম হয় কোনিয়াতে। কালকে শেষ দিনে সোমালিয়ান ছাত্ররা বিভিন্ন খাবার নিয়ে এসে বিলাতে শুরু করেন প্লেটে করে। আইটেমের মধ্যে ছিলো সমুচা, তিলের খাজা, নারিকেলের এক ধরনের মিষ্টি, আর ঘরে বানানো কেক। অবাক হয়ে গেলাম এসব দেখে! আর টেস্ট, পুরোটাই আমাদের মতো। সমুচা জিজ্ঞেস করলাম, "কি বললাম তোমরা এটাকে?"। জবাব দিলো, "সামুচা বলি আমরা"। বাকিগুলো আর জিজ্ঞেস করিনি। ভারত-পাকিস্তানের সাথে আমাদের খাবার আইটেম মিলা খুব ই স্বাভাবিক। ৫১০০ কিলো দুরের একটা দেশের আইটেম আর রান্না পদ্ধতির মধ্যে এতো মিলের কারণ কি হতে পারে? পেছনের ইতিহাস কি হতে পারে? ইতিহাসবিদরা চাইলেই ফুড হিস্টোরি রিলেটেড একটা গবেষণা কাজ শুরু করতে পারেন। :)