কোনিয়ার আবহাওয়া

এখানে কুয়াশা নামে হঠাত করে। আচমকা। চোখের পলক ফেলতে না ফেলতেই চারপাশ ঢেকে ফেলে ঘন সাদা কুয়াশার চাদর। ধীরে ধীরে ঝাপসা হয়ে আসে চারিপাশ। সাথে সাথে ঝাপসা হয়ে স্মৃতির চাদর নেমে আসে মনের চোখে। সন্ধ্যা নামতে যখন আস্তে আস্তে ফিরতে থাকি নীড়ের দিকে, বাস্তবই ৪০ ফিটের বেশী দৃষ্টি চলে না। অপর প্রান্ত থেকে এগিয়ে আসে প্রতিমূর্তিকে অশরীরী ভেবে ভুল হতে থাকে আর অজান্তেই গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। শীতে নাকি ভয়ে বুঝতে পারি না। মেইন রোড থেকে ডর্মের রাস্তায় কিছু দূর ধরে কোন বাতি নেই। বাতি থাকলেও কুয়াশার প্রকোপে বোঝার উপায় নেই কোন। ধীরে ধীরে ক্লান্ত শরীরে 0 ডিগ্রীর মধ্যে হাঁটতে হাঁটতে এগিয়ে যাই ডর্মের দিকে। ১০০ মিটার দূর থেকেও বোঝার উপায় নেই এখানে কোন বিল্ডিং এর অবস্থান আছে কিনা। আস্তে আস্তে দৃষ্টিগোচর হয় আর এক এক করে জানালা দিয়ে আশা বাতির আলো নিশাচর কোন জন্তুর মিট মিট করতে থাকা কুয়াশায় ঢাকা ঘোলা চোখ মেলে তাকায়।

অদ্ভুত এক এলাকা এখানে । আবহাওয়ার উদ্ভট আচরণে কোনদিন কেমন যাবে খেয়াল রাখা লাগে প্রতিদিনই। আজকে সারাদিন রোদ, কালকে হয়তো তুষার পড়লো সকাল জুড়ে। পরশু দেখা গেলো প্রচুর বৃষ্টি, আর তারপরের দিন প্রচণ্ড কুয়াশায় চারদিকে কিছুই দেখা যায়না। পাহাড়ি অঞ্চলে সন্ধ্যা নামে অনেক ধীরে ধীরে। পাহাড়ের অপারে সূর্য অস্ত যায় অনেকক্ষণ ধরে। অস্ত যাওয়ার অনেকক্ষণ পর ধরেও হালকা লালচে আভা লেগে থাকে পশ্চিম আকাশ জুড়ে। আকাশে মেঘ থাকলে একেক আকাশ একেক রঙ্গে রাঙ্গে। হয়তো একেক দিকের আকাশ একেক রঙ্গে রাঙ্গাতে থাকে চারপাশের সবকিছু। আস্তে আস্তে সূর্য ডুবতে থাকে আর আকাশ থেকে এক এক করে রঙ হারাতে থাকে, সাথে নিতে থাকে মনের ঘোলাটে ক্যানভাস থেকে হারাতে থাকে রঙ্গের আচড় ।